আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০১৯
জুনায়েদ খান/গাজীপুর।
গাজীপুর জেলার সদর মেট্রো থানার জয়দেবপুর মৌজার রাজদিঘীর পাড়ে জবর দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজউকের প্ল্যান লঙ্ঘন করে পাশের জমির মালিকের জমি দখল করে ওই ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
অভিযুক্তরা
হচ্ছেন,১.গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার কানাইয়া এলাকার মো. শরীফ উদ্দীন
২.জয়দেবপুর থানার বিপ্রবর্থা এলাকার মো.দেলোয়ার হোসেন ৩. কালিয়াকৈর থানার
মৌচাক এলাকার মো. সাদিকুর ৪.শ্রীপুর থানার বনখরিয়া এলাকার নাসির উদ্দীন
৫.কালিয়াকৈর থানার রশিদপুর এলাকার হারুন অর রশিদ ৬.জয়দেবপুর খুদে বরমী
এলাকার মো. শহিদ সরকার ৭.কালিয়াকৈর থানার মজিদচালা এলাকার মো. আল ইমরান ৮.
কাশিমপুর থানার মাধবপুর এলাকার আজিজ মাহমুদ ৯.কালীগঞ্জ থানার চৈতারপাড়া
গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম ১০.কালিয়াকৈর থানার গাবতলী এলাকার মো. শাহ আলম।
এ
ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক),
গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের
করেছেন পাশ্ববর্তী মালিকরা।
রাজউক -২ এর পরিদর্শক মোঃ মুরাদ মিয়া জানান,আমরা কাজ বন্ধের জন্য নোটিশ দিয়েছি।
হেনা
পারভীনসহ ১০ জনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজউক পরিদর্শক প্রোকৌশলী মো. মুরাদ
মিয়া ভবনের স্থলে হাজির হয়ে নিয়ম-৩ লংঘন করে ভবন নির্মাণ বন্ধ করতে দুইবার
নিষেধ করেছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে অভিযুক্তরা দক্ষিণ পাশের সীমানায় থাকা
সরকারী লিজের জমি ঘেষে ভবন নির্মাণ শুরু করেছেন। এতে এক ইঞ্চিও ফাঁকা নেই।
পূর্বপাশের জমিওয়ালার ৮ ইঞ্চি ও অভিযোগকারীদের ৭ ইঞ্চি জমিতে জবর দখলের
ঘটনা ঘঠেছে। অথচ রাজউকের নিয়ম মতে চতুর্দিকে এক মিটার বা সোয়া ৩ ফুট ফাঁকা
রাখতে হয়।
অভিযোগকারী হেনা জানান, জমি জবরদখল কারীরা আমাকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এ
বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত জমি দখল কারীদের একজন দেলোয়ার হোসেন তার সাথে
মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান আমি এবিষয়ে কিছুই জানিনা, আমার শশুর অসুস্থ
ছিলো তাকে নিয়ে ঢাকায় ছিলাম, শশুর মারা গিয়াছেন, যার কারনে আমি কিছুই
জানিনা।