আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
অভিজিৎ কুমার মন্ডল ,চিতলমারীঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই বাগেরহাট জেলার চিতলমারীতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা। আগামী মার্চ মাসে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার ঘোষণা পেয়ে তৎপর হয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আসায় ইতিমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের প্রায় দুই ডজন সাম্ভব্য প্রার্থী। এবার প্রথম বারের মত দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষণার পর থেকে ভোটারদের দ্বারে না গিয়ে প্রার্থীরা এখন দলীয় সবুজ সংকেত পাওয়ার জন্য লবিং এ ব্যস্ত সময় পার করছেন। কারা হচ্ছেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী, আর কারাই পাবেন দলীয় মনোনয়ন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। হাট-বাজার ও পাড়ার চায়ের দোকানে চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সমর্থকরা চালাচ্ছেন বিভিন্ন প্রচারণা। সব মিলিয়ে চিতলমারীতে বইছে নির্বাচনের হাওয়া। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অশোক কুমার বড়াল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীযুষ কান্তি রায়, উপজেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান ও যুবলীগের জেলা আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য মোঃ রাশেদ শেখ পুকুল, জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব মোহন আলী বিশ্বাস, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সদস্য এয়াড, শম্ভুনাথ রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম তাপস, উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুলতানা মল্লিক আরো অনেকে এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাহেব আলী ফরাজী, মোঃ মাহাতাবুজ্জামান, রাজু আহমেদ মিরান, আনন্দ লাল দত্ত, মিলন কান্তি বাড়ৈ, অলিপ সাহা কালা, নাজমুল হক টিপু , নাইমুল ইসলাম খান নোমান। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি শিবানী বিশ্বাস, সভানেত্রী হেলেনা পারভীন, সাবেরা বেগম স্বপ্না কামাল। প্রার্থী মনোনয়নের ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীযুষ কান্তি রায় জানান, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশ ক্রমেই প্রার্থীরা মনোনয়ন পাবেন। কোন অবস্থায়ই বিদ্রোহী প্রার্থীদের মেনে নেওয়া হবে না।